রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম ব্যস্ততম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ও লক্ষীপুর সড়ক, বিশেষ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে, এখন এক ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার। পথচারীদের জন্য নির্ধারিত ফুটপাত সম্পূর্ণভাবে চলে গেছে হকার ও ব্যবসায়ীদের দখলে। খাবারের দোকান, প্লাস্টিকের সামগ্রী এবং বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী পসরা সাজিয়ে ব্যবসায়ীরা ফুটপাত তো বটেই, সড়কের অনেকাংশও দখল করে নিয়েছেন। এর ফলে রাস্তা এতটাই সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে যে, যান চলাচল এবং পথচারীদের হাঁটাচলার জন্য তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। জরুরী প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য যানবাহনও এই পথ দিয়ে দ্রæত পার হতে চায়।
কিন্তু ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীরা বাধ্য হচ্ছেন মূল সড়কের ওপর দিয়ে হাঁটতে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াছে।
অ্যাম্বুলেন্স চলাচলেও বিঘœ ঘটছে, যা মুমূর্ষ রোগীদের জন্য জীবনঘাতী হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অস্থায়ী ফলের দোকান, কাপড়ের স্টল এবং নানা ধরনের ভ্রাম্যমাণ দোকানের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে ফুটপাতের মূল উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা তাদের জীবিকা নির্বাহের যুক্তি দেখালেও, শহরের সচেতন মহল মনে করছেন, এটি মূলত প্রশাসনের সঠিক তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের অভাবে সৃষ্ট একটি কৃত্তিম সমস্যা।
এ বিষয়ে স্থাানীয় সচেতন নাগরিকরা কয়েকটি গুরুতপূর্ণ প্রস্তাবনা দিয়েছেন:
ফুটপাত পথচারীর জন্য উম্মুক্ত রাখা: কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে যে ফুটপাত শুধুমাত্র পথচারীদের হাঁটার জন্য ব্যবহৃত হবে এবং কোনো ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান: ফুটপাত দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত ও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। এই অভিযান যেন লোকদেখানো না হয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিকল্প হকার মার্কেট: হকারদের পুনর্বাসনের জন্য শহরের উপযুক্ত স্থানে একটি সুসংগঠিত হকার মার্কেট তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে তারা নির্বিঘেœ ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি: পথচারী এবং ব্যবসায়ীরা উভয়েই যাতে নিয়ম মেনে চলেন, সে বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, লক্ষীপুর ফুটপাত দখল সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে ভবিষ্যতে যানজট, দুর্ঘটনা এবং জনদুর্ভোগ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এই ব্যস্ততম সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নগরবাসী।
ফুটপাতের কারণে যানজট ও জনদুর্ভেগের বিষয়ে জানতে চাইলে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জানান, আপনারা জানেন রামেক হাসপাতাল থেকে লক্ষীপুর মোড় পর্যন্ত এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। ইতিপূর্বে আমরা অনেকবার ফুটপাত উচ্ছেদ করেছি। কিন্তু একদিকে ফুটপাত পরিস্কার করি, আবার অন্যদিক দিয়ে ফুটপাতে দোকান বাসায় এবং ধীরে ধীরে রাস্তা দখল করে ব্যবসা করে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা সহযোগীতা করলে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব। তবে ফুটপাত উচ্ছেদে শিঘ্রই অভিযান চালাবেন বলেও জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। জরুরী প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য যানবাহনও এই পথ দিয়ে দ্রæত পার হতে চায়।
কিন্তু ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীরা বাধ্য হচ্ছেন মূল সড়কের ওপর দিয়ে হাঁটতে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াছে।
অ্যাম্বুলেন্স চলাচলেও বিঘœ ঘটছে, যা মুমূর্ষ রোগীদের জন্য জীবনঘাতী হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অস্থায়ী ফলের দোকান, কাপড়ের স্টল এবং নানা ধরনের ভ্রাম্যমাণ দোকানের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে ফুটপাতের মূল উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা তাদের জীবিকা নির্বাহের যুক্তি দেখালেও, শহরের সচেতন মহল মনে করছেন, এটি মূলত প্রশাসনের সঠিক তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের অভাবে সৃষ্ট একটি কৃত্তিম সমস্যা।
এ বিষয়ে স্থাানীয় সচেতন নাগরিকরা কয়েকটি গুরুতপূর্ণ প্রস্তাবনা দিয়েছেন:
ফুটপাত পথচারীর জন্য উম্মুক্ত রাখা: কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে যে ফুটপাত শুধুমাত্র পথচারীদের হাঁটার জন্য ব্যবহৃত হবে এবং কোনো ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান: ফুটপাত দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত ও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। এই অভিযান যেন লোকদেখানো না হয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিকল্প হকার মার্কেট: হকারদের পুনর্বাসনের জন্য শহরের উপযুক্ত স্থানে একটি সুসংগঠিত হকার মার্কেট তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে তারা নির্বিঘেœ ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি: পথচারী এবং ব্যবসায়ীরা উভয়েই যাতে নিয়ম মেনে চলেন, সে বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, লক্ষীপুর ফুটপাত দখল সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে ভবিষ্যতে যানজট, দুর্ঘটনা এবং জনদুর্ভোগ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এই ব্যস্ততম সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নগরবাসী।
ফুটপাতের কারণে যানজট ও জনদুর্ভেগের বিষয়ে জানতে চাইলে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জানান, আপনারা জানেন রামেক হাসপাতাল থেকে লক্ষীপুর মোড় পর্যন্ত এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। ইতিপূর্বে আমরা অনেকবার ফুটপাত উচ্ছেদ করেছি। কিন্তু একদিকে ফুটপাত পরিস্কার করি, আবার অন্যদিক দিয়ে ফুটপাতে দোকান বাসায় এবং ধীরে ধীরে রাস্তা দখল করে ব্যবসা করে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা সহযোগীতা করলে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব। তবে ফুটপাত উচ্ছেদে শিঘ্রই অভিযান চালাবেন বলেও জানান তিনি।